# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
যুদ্ধ সংঘটিত হয়- (১৮৩৯-১৮৪৯) সাল পর্যন্ত ইংরেজদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও আফিম বাণিজ্য বিস্তারের কারণে ব্রিটিশ ও চীনের মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৪২ সালে নানকিং চুক্তির মাধ্যমে সমাপ্ত প্রথম আফিম হয়। আফিম যুদ্ধের পরে চীন বৃটেনের সকল শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়।
চীন ১৮৫৬ সালে বৃটেনের পতাকাবাহী জাহাজ আটক করলে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধের সূচনা হয়। যথারীতি দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধেও চীন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ (১৮৫৬-১৮৬০) সাল পর্যন্ত পরিব্যাপ্তি ছিল।
১৯৯০ সালে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখলের মাধ্যমে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সূচনা। বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও সৌদি আরব সামরিক জোট গঠন করে ইরাকের বিরুদ্ধে, সামরিক জোট কুয়েত থেকে সেনা। প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান করে। কিন্তু সাদ্দাম হোসেন এ আহ্বান প্রত্যাখান করে কুয়েতকে প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯৯১ সালে সামরিক জোট ইরাক আক্রমণ করে এবং জয় লাভ করে। যুদ্ধের সময় 'Operation Desert Shield' ও ' Operation Desert Storm' নামে দুটি অপারেশন পরিচালনা করে মিত্র সামরিক জোট। No Fly Zone গঠিত হয় ইরাকে।
১৮০৫ সালে স্পেনের ট্রাফালগার নামক অঙ্গরীপে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সাথে নেপোলিয়নের বাহিনীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইতিহাসে ট্রাফালগার যুদ্ধ নামেই পরিচিত। Trafalgar Square' নির্মাণ করে লন্ডনে ট্রাফালগার যুদ্ধের স্মরণে।
১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্য ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে ফকল্যান্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। আটলান্টিক মহাসাগরের কতগুলো দ্বীপের সমষ্টি হচ্ছে ফকল্যান্ড। ইসলাস মালভিনাস ফকল্যান্ড দ্বীপের অপর নাম। এই যুদ্ধকালীন সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লৌহমানবী মার্গারেট থ্যাচার।
১৯৫৪ সালে জেনেভা সম্মেলনের মাধ্যমে ভিয়েতনামকে বিভক্ত করা হয়। দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুঁজিবাদী মতাদর্শ আর উত্তর ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট মতাদর্শে পরিচালিত হতো। ১৯৫৫ সালে দুই ভিয়েতনামের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং পরাজিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী এই যুদ্ধে প্রায় ৩০ লক্ষের বেশি লোক মারা হয়। এই যুদ্ধকে দ্বিতীয় ইন্দোচীন যুদ্ধ নামেও অভিহিত করা হয়। ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং ১৯৭৬ সালে দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয়।
ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্রান্সের সিংহাসন দাবি করলে শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের এই যুদ্ধ স্থায়ীত্ব ছিল (১৩৩৮-১৪৫৩) সাল পর্যন্ত। এই যুদ্ধে ফ্রান্স জয়লাভ করে।
১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ শুরু হয়। শিয়া ও কুর্দি সমস্যা, সীমান্ত বিরোধ এবং তেল সম্পদ ছিল এই যুদ্ধের প্রধান কারণ। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলজিয়ার্স (আলজেরিয়া) চুক্তির মাধ্যমে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। চুক্তির শর্তানুসারে ইরান উপসাগরের শাত-ইল আরব জলাধার লাভ করে।
১৯০৪ সালে জাপান রুশ জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯০৫ সালে মুসিমা প্রণালীতে রুশ-জাপানের তুমুল Treaty স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এই যুদ্ধে মধ্যস্থতার জন্যে। ১৯০৬ সালে রুজভেল্ট শান্তিতে যুদ্ধে রুশ বাহিনী পরাজিত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের মধ্যস্থতায় ১৯০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর Portsmouth নোবেল পুরস্কার পান।
১৮৯৪-১৯৯৫ সালে প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপানের লক্ষ্য ছিল কোরিয়া দখল করা, যাতে সহজেই ভূ- কৌশলগত মাঞ্চরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করা যায়। কোরিয়া ও মাঞ্চুরিয়ার মাঝখানে রয়েছে ইয়েলো নদী। চীন-জাপান যুদ্ধে চীন পরাজিত হয়। ১৮৯৫ সালে শিমোনোস্কি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
১৮২৪-১৮২৬ সালে সংঘটিত প্রথম ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধ ছিল বার্মায় ( মায়ানমার) ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ। ১৮৫২ সালে সংঘটিত দ্বিতীয় ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধেও বার্মা রাজারা পরাজিত হয়। ব্রিটিশরা তৃতীয় ইঙ্গ-বার্মা (১৮৮৫-৮৬), যুদ্ধের মাধ্যমে বার্মাকে সম্পূর্ণ উপনিবেশিক আওতাভূক্ত করে। তৃতীয় ইঙ্গ-বার্মা যুদ্ধের সময় বর্মী রাজা ছিলেন রাজা থিবো। পরিশেষে বার্মা ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয় ১৮৮৫ সালে। বার্মা ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করেন।
১৮৫৩-১৮৫৬ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছিল এই যুদ্ধের। রুশ-সাম্রাজ্য ও অটোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে ক্রিমিয়া যুদ্ধ সংঘটিত হয়। দার্দানেলিস প্রণালীতে আধিপত্য বিস্তার ও ক্রিমিয়াতে খ্রিস্টান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮৫৩ সালে রুশ বাহিনী। আক্রমণ চালায়। তবে তুরস্ক সাম্রাজ্যকে ইউরোপীয়দের মাঝে বন্টনের জন্যই এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সাথে জড়িত নাম ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল যাকে "The Lady with the Lamp" বলা হয় ।
১৮৬১-১৮৬৫ সাল অবধি চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ। আব্রাহাম লিংকনের ইউনিয়ন সরকারের সাথে দাস নির্ভর দক্ষিণের ১১টি প্রদেশের মাঝে এই গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন ও রিপাবলিক দল ছিল দাস প্রথার ঘোরতর বিরোধী। এটি আন্তঃ প্রাদেশিক যুদ্ধ নামেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন জন উইলক্স বুধ নামক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
(Diplomacy) হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিদ্যার একটি শাখা যেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে পারস্পরিক চুক্তি বা আলোচনা সম্পর্কিত কলা কৌশল অধ্যয়ন করা হয়। সাধারণ অর্থে কূটনীতি হচ্ছে কোন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিচালিত সরকারি কার্যক্রম। হেনরি কিসিঞ্জারের মতে, “কূটনীতি হল আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য সমূহকে মানিয়ে নেওয়া।”
কূটনীতি শব্দটি ১৭৯৬ সালে এডমন্ড বার্ক প্রচলিত ফরাসী শব্দ diplomatic থেকে প্রচলন হয়। বাংলা কূটনীতি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ "কুটানীতি" থেকে আগত। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা চাণক্য কৌটিল্য'র নাম থেকে কূটনীতি শব্দটির উদ্ভব ঘটে।
জেনে নিই
- বিশ্বের প্রথম মেধারভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেওয়া হয়- চীন।
- বর্তমান বাণিজ্য-যুদ্ধ/নয়া স্নায়ু যুদ্ধে বিদ্যমান- চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।
- দালাইলামা ধর্মীয় নেতা- চীনের তিব্বত প্রদেশের। কনফুসিয়াস- চীনা দার্শনিক।
- দার্শনিক ‘ফালুন গং'- চীনের একটি আধ্যাত্মিক আন্দোলন ।
- 'উইঘুর' হলো - চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি মুসলিম সম্প্রদায়।
- বিশ্বে প্রথম কাগজ আবিষ্কৃত হয়েছিল- চীনে ।
- চীনের ধানভান্ডার হিসাবে পরিচিত- হুনান প্রদেশ। চীনের প্রধান উপজাতি- হান।
- আয়তনে এশিয়ার সবচেয়ে বড় দেশ চীন। চীনের মোট প্রদেশ ২৯ টি।
- চীনে ‘এক সন্তান নীতি' চালু করে- ১৯৭৯ সালে এবং বিলুপ্ত করে- ২০১৬ সালে ।
- চীনে বর্তমানে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বিলুপ্ত করা হয়েছে।
- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী রয়েছে চীনে।
- মেরিন লিজার্ড- একটি উভচর ড্রোন।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধি ও পশ্চিমা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই কূটনৈতিক তৎপরতা। আমেরিকা যে চীনা বিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে, চীনকে সকল ক্ষেত্রে কোণঠাসা করতে বিভিন্ন সংগঠন তৈরি করছে এসকল কার্যকলাপ পদদলিত করতেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিন পিং ২০২০ সঙ্গে এই আক্রমণাত্মক কূটনীতির অবতারণা করেন।
১৯৭১ সালে দীর্ঘদিনের শত্রুতা সম্পন্ন দুই দেশ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতির জন্য পিং পং কূটনীতি (Ping Pong Diplomacy) এর মাধ্যমে মার্কিন টেবিল টেনিস দল চীন সফর করে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দেশ দুটির দীর্ঘ দিনের বৈরী সম্পর্কের বরফ গলতে আরম্ভ করে এবং চীন জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ ও স্থায়ী প্রতিনিধি লাভ করে।
One Belt One Road (OBOR) মেগা প্রকল্পটি গণচীন সরকারের ২০১৬ সালে হন্ত সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বন্দর, ভূমিতে আন্তঃসীমান্ত সড়ক, উচ্চগতির রেলপথ, বিমানবন্দর এবং ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণের কৌশল। এই উদ্যোগের পরিধি। অনিকভাবে এশিয়া ও ইউরোপের প্রায় ৬০ টি দেশ। ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড বন্ত্রিক ট্রেডিং ব্যবস্থার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করেছে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ। এবং নি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ। বেন্ট অ্যান্ড রোড। শিয়েটিভ এখন ঐতিহাসিক "সিল্ক রোড" বাণিজ্য রুটের সময় ভৌগোলিক | জাতাকে বোঝায়, যা প্রাচীনকালে ব্যবহৃত হতো। BRI এর উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক হও এর পেছনে ভূ-রাজনীতি বিদ্যমান।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- স্বৈরতন্ত্র- সামরিক শাসক কর্তৃক পরিচালিত শাসন ব্যবস্থাই স্বৈরতন্ত্র।
- আমলাতন্ত্র- আমলাদের দ্বারা পরিচালিত সরকার ব্যবস্থা যেখানে সরকারী কর্মচারী জনমতকে অগ্রাহ্য করে শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এর প্রবক্তা ম্যাক্স ওয়েবার ।
- ফ্যাসিজম (ফ্যাসিবাদ)- “জনগণের জন্য রাষ্ট্র নয়, রাষ্ট্রের জন্যই জনগণ” এর মূলকথা
- মার্কসবাদ- কার্ল মার্কস এর মতবাদ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে শ্রেণীহীন সম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
- সাম্যবাদ- সাম্যবাদ হল শ্রেণীহীন সমাজ যেখানে ব্যক্তির জীবন ও কর্ম রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়।
- সাম্রাজ্যবাদ- অপর রাষ্ট্র দখল করে শক্তি বৃদ্ধি ও সম্পদ বৃদ্ধি করার নাম সাম্রাজ্যবাদ ।
- টাস্ক ফোর্স- কোন দেশের স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীর সম্মিলিত সৈন্যদল। * অধ্যাদেশ- জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য রাষ্ট্রের প্রধান কর্তৃক জারি আদেশ বা নির্দেশ
- ইমপিচমেন্ট- (অভিশংসন) রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোন অপরাধের জন্য রাষ্ট্রপতির বিচার কার্য পরিচালনার জন্য গি বিশেষ বিচার বিভাগ।
- তৃতীয় বিশ্ব- বিশ্বের উন্নয়নশীল এবং নিরপেক্ষ দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলা হয় যেমন: বাংলাদেশ।
- ফিফথ কলাম (পঞ্চম বাহিনী) যে জনতা গোপনে নিজ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং শত্রুকে সাহায্য করে।
- বাফার স্টেট- বিবাদমান দু'টি বৃহৎ রাষ্ট্রের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
- ফ্লোর ক্রসিং/ক্রস ভোটিং- নিজ দলের পক্ষে ভোট না দিয়ে বিপক্ষ দলকে ভোট দেয়।
- ডোমিনিয়ান- ব্রিটিশ শাসিত উপনিবেশ যেগুলো স্ব-শাসন করার মর্যাদা ও করেছে সেগুলোই ডোমিনিয়ান দেশ।
- ব্লাক স্যাট- ইটালির সাবেক একনায়ক মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট দল।
- উগ্র স্বদেশিকতা- উগ্র স্বদেশিকতার বশবর্তী হয়ে মানুষ যখন অন্যান্য অঞ্চল/দেশের নাগরিকগণকে ঘৃণা করে সেটাই বলে শোবিনিজম যেমন: সাবেক নাৎসিবাদ ।
- কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধ- দুটি দেশের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে শান্তি বিরাজ করলেও বাস্তবে দু দেশের ভিন্নমুখী অবস্থান গ্রহণ করে যেমন: [সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র)
- স্যাটেলাইট স্টেট- প্রতিবেশী বৃহৎ এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রভাবাধীন অপেক্ষাকৃত দূর্বল রাষ্ট্র যেমন: ভুটান, নেপাল, ইউক্রেন।
- স্ট্র ভোট- কোন বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা ব বেসরকারীভাবে গৃহীত ভোট।
- ট্রাফালগারের যুদ্ধ (১৮০৫), লিপজিগের যুদ্ধ (১৮১৩), ওয়াটার লু যুদ্ধ (১৮১৫)
- ফরাসি বিপ্লবের শিশু/বরপুত্র বলা হয়- নেপোলিয়নকে।
- নেপোলিয়ান ফ্রান্সের সম্রাট নিযুক্ত হন ১৮০৪ সালে।
- ওয়াটার লু যুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৮১৫ সালে।
- ওয়াটার লু নামক স্থানটি অবস্থিত বেলজিয়ামের একটি গ্রামে।
- ওয়াটার লু যুদ্ধ নেপোলিয়ন ও ডিউক অব ওয়েলিংটন এর মধ্যে সংঘটিত হয়।
- ওয়াটার লু যুদ্ধে জয়ী হয় ডিউক অব ওয়েলিংটন।
- ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডকে সংযোগকারী সমুদ্র তলদেশ দিয়ে নির্মিত টানেলটির দৈর্ঘ্য ৫০কি.মি.। ১৮১৫ সালে ওয়াটার লু যুদ্ধে ব্রিটেনের কাছে পরাজয়ের পরে নির্বাসিত অবস্থায় ১৮২১ সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে( দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর) মারা যান।
১৯৪৭-১৯৯১ সাল পর্যন্ত চলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রসমূহ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্রসমূহের মধ্যকার টানাপোড়েনের নাম। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৮০ দশকের শেষ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল। প্রায় পাঁচ দশকব্যাপী সময়কালে এই দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যকার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক মতানৈক্য আন্তর্জাতিক রাজনীতির চেহারা নিয়ন্ত্রণ করত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ ছিল গণতন্ত্র ও পুঁজিবাদের পক্ষে; আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার মিত্র সশসমূহ ছিল সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রপন্থী । স্নায়ুযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান মিত্র ছিল যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি জাপান ও কানাডা। আর সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ছিল পূর্ব ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র, যেমন বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, পূর্ব জার্মানি ও রোমানিয়া। স্নায়ুযুদ্ধের কিছুকাল যাবৎ কিউবা এবং চীন সোভিয়েতদের সমর্থন দেয়।যে সমস্ত দেশ দুই পক্ষের কাউকেই সরকারিভাবে সমর্থন করত না, তাদেরকে নিরপেক্ষ দেশ বলা হত। তৃতীয় বিশ্বের নিরপেক্ষ সেগুলি জোট নিরপেক্ষ দেশগুলি জোট আন্দোলনের অংশ ছিল। অবশেষে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের নাটকীয় পরিবর্তন ও পতনের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি হয় ।
প্রথম যুদ্ধ (১৯৪৭-৪৯)
- যুদ্ধ বিরতি কার্যকর: ০১ জানুয়ারি, ১৯৪৯ সাল
- যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া রেজুল্যেশনের মাধ্যমে
- Line of Control বা নিয়ন্ত্রণ রেখা কার্যকর হয়।
- ভারতের নিয়ন্ত্রণে: কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু ও লাদাখ
- পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে: আজাদ কাশ্মির এবং গিলগিট, বালভিস্তান (ঝিলঝি বালতিস্তান)
দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৯৬৫-৬৬)
- অস্ত্রবিরতি কার্যকর: ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬ (তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে)
- স্বাক্ষরিত হয়: তাসখন্দ, উজবেকিস্তান ( মধ্যস্থতা, রাশিয়া)
- স্বাক্ষর করেন: ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান
তৃতীয় যুদ্ধ (০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১)
- প্রথম যুদ্ধ ঘোষণা করে ভারত
- সমাপ্তি: ০২ জুলাই, ১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দি হস্তান্তরে এটির সমাধান হয়।
চতুর্থ যুদ্ধ (১৯৯৯)
- অন্য নাম: কারগিল যুদ্ধ